২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ এমন এক ঘটনা জনিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। সস্ত্রীক পর্ন ভিডিও বানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর। আর তাতে সম্মানহানি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। এরপর ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। চাকরি গেছে ওই চ্যান্সেলর ও তার স্ত্রীর। ২৭ ডিসেম্বর২০২৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রিজেন্টসের এক সভায় তাদের বরখাস্ত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অনলাইনে অ্যাডাল্ট কনটেন্ট শেয়ার ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া ওই ব্যক্তি উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ড. গোও ও তার স্ত্রী। বোর্ডের সভায় বলা হয়েছে, তার এমন কাজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপক সম্মানহানি হয়েছে।
‘সেক্সি হ্যাপি কাপল’ শিরোনামে বিখ্যাত ওয়েবসাইটে ছড়িয়ে দেওয়া হতোতাদের ভিডিওগুলো । এগুলোতে তাদের ছাড়াও নামকরা স্টারদের পারফর্ম করতে দেখা গেছে। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ২০০৭ সাল থেকে উইসকনসিন-লা ক্রস বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন ড. গোও। ১৯৬০-এর দশকের পর তিনি সবচেয়ে দীর্ঘ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তার স্ত্রী উইলসন চ্যান্সেলর অবৈতনিক সহকারী ছিলেন। সভায় তাকেও পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। বোর্ডের প্রধান ক্যারেন ওয়ালশ এক বিবৃতিতে বলেন, চ্যান্সেলরের এমন কার্যকলাপে বোর্ড উদ্বিগ্ন এবং বিরক্ত। সাক্ষাৎকারে গাও এবং উইলসন বলেন, ভিডিওগুলোর জন্যই তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে বলে বিশ্বাস তাদের। এসবের জন্য শাস্তি দেওয়াকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুল সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেছেন তারা। তাদের যুক্তি, এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের বাক-স্বাধীনতার লঙ্ঘন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী যেখানে বাস করেন সেখানে সংবিধানের সংশোধন করা হয়েছে। আমরা সম্মতির ভিত্তিতে প্রাপ্তবয়স্ক যৌনতা নিয়ে কাজ করছি। বোর্ড অব রিজেন্ট এ বিষয়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তারা বাক-স্বাধীনতার বিষয়ে সংবিধানের সংশোধনী মেনে চলেন না। বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমি গতরাতে একটি ই-মেইল পেয়েছি। সেখানে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমি শুনানির সুযোগ পেলে যুক্তিবাদী লোকেরা বুঝতেন যে আমি ও আমার স্ত্রী কী তৈরি করেছি।