20 Dec
20Dec


পশ্চিমা বিশ্বের বিরুদ্ধে ‘হাইব্রিড যুদ্ধ’ করছে রাশিয়া। এ জন্য পারমাণবিক অস্ত্রের আধুনিকায়ন এবং কৌশলগত বাহিনীকে যুদ্ধ প্রস্তুতির সর্বোচ্চ পর্যায়ে রেখেছে দেশটি। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর আলজাজিরার। পুতিন বলেন, ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখবে মস্কো। কৌশলগতভাবে রাশিয়াকে পরাজিত করার সব চেষ্টা ভেস্তে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র নিজের স্বার্থে ইউরোপকে শোষণ করছে বলেও অভিযোগ তোলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ইউরোপের বিরুদ্ধে কোনো যুদ্ধের পরিকল্পনা করেনি তার দেশ। পুতিন বলেন, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে কথা বলতে রাশিয়া প্রস্তুত রয়েছে। তবে মস্কো অবশ্যই তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করবে। তিনি বলেন, ইউক্রেন, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে যারা রাশিয়ার প্রতি আক্রমণাত্মক মনোভাব পোষণ করে তারা কি আলোচনা করতে চায়? তারা চাইলে করতে দাও। তবে আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে তা করব। আমরা আমাদের জিনিস ছেড়ে দিব না। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্যপদ আগামী ১০ বছর বা ২০ বছরও রাশিয়া মেনে নেবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পুতিন। ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্প পশ্চিমাদের তুলনায় ভালো কাজ করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।

একই বৈঠকে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর বছরের তুলনায় রাশিয়া ট্যাংক উত্পাদন ৫ দশমিক ৬ গুণ বাড়িয়েছে। দুই হাজার কিলোমিটারের সম্মুখ লাইন বরাবর সাত হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায় মাইন পুঁতে রেখেছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে সেনা পাঠালে ইউক্রেন ‍যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর ২১ মাস পার হলেও এখনো এই যুদ্ধের অবসান হয়নি। গত (১৪ ডিসেম্বর) পুতিন জানান, ইউক্রেনে রাশিয়ার লক্ষ্য অপরিবর্তিত রয়েছে। সেগুলো অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত কিয়েভের সঙ্গে কোনো শান্তি চুক্তি হবে না। তিনি বলেন, ইউক্রেনের ডিনাজিফিকেশন (নাৎসিকরণ বন্ধ করা), নিরস্ত্রীকরণ এবং জোট নিরপেক্ষ অবস্থান নিশ্চিতের পর তাদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করা সম্ভব। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর থেকেই এমন দাবি করে আসছেন তিনি। রাশিয়ার অভিযোগ, ইউক্রেনের বর্তমান সরকার উগ্র জাতীয়তাবাদী ও নব্য নাৎসি গোষ্ঠীদের দ্বারা ব্যাপক প্রভাবিত। যদিও রাশিয়ার এমন অভিযোগের বিরোধী কিয়েভ ও তার পশ্চিম মিত্ররা। এ ছাড়া ইউক্রেন যেন সামরিক জোট ন্যাটোতে না যোগ দেয়, সে দাবিও করে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

মন্তব্য
* ইমেলটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে না।