শুক্রবার দুবাইয়ে আইসিসির একাডেমি প্রথম সেমিফাইনালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ১৮৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় ভারত। জবাবে ৪৩ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে টাইগাররা।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। টাইগার পেসারদের সামনে শুরুতেই দিশেহারা হয়ে পড়ে ভারতের টপঅর্ডার। ১৩ রানে বিদায় নেন ৩ ব্যাটার। তিনটি উইকেটই শিকার করেন ১৭ বছর বয়সী পেসার মারুফ মৃধা। এরপর টিম ইন্ডিয়ার ওপর চড়াও হন ডানহাতি পেসার রাহানাদ দৌলা বর্ষন। শচীন দাস ও প্রীয়ংসু মালিয়ার উইকেট তুলে নেন তিনি। অভিনাশকে ফিরিয়ে ৬১ রানে ভারতের ৬ নম্বর উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশের যুবারা। সপ্তম উইকেটের ৮৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন মুশির খান ও মুরুগান অভিষেক। তাদের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলে ভারত যুবারা। দুজনেই ফিফটি তুলে আউট হন। ১৪৫ রানের মাথায় ৫০ রানে সাজঘরে ফিরে যান মুশির খান। সর্বোচ্চ ৬২ রান করা অভিষেককে ফেরান সেই মারুফ মৃধা। শেষ পর্যন্ত ১৮৮ রানে অলআউট হয় ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল। টাইগারদের হয়ে পেসার মারুফ মৃধা ৪১ রানে ৪টি উইকেট নেন।
১৮৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়ায় ৩৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশের যুবারা। প্রথম ওভারে বিদায় নেন জিসান আলম। আরেক ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলীও এদিন দ্রুত বিদায় নেন। টানা তিন ম্যাচে রানের ফেয়ারা ছুটানো উইকেটকিপার ব্যাটার মাত্র ৭ রানে সাজঘরে ফেরেন। চতুর্থ উইকেটে ১৩৮ রানের বিশাল পার্টনারশিপ গড়েন আরিফুল ইসলাম ও আহরার আমিন। মাত্র ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন আরিফুল। ব্যাক্তিগত ৯৪ রানে লিমবানির বলে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান এই জুনিয়র টাইগার। আরিফুলের বিদায়ের পর দ্রুত আরও দুই উইকেট হারায় টাইগাররা। আহরার আমিন ৪৪ রানে সাজঘরে ফেরেন। শিহাব জেমসও ৯ রানে আউট হলে টাইগারদের জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও শেখ পারবেজ জীবন।