গত এক বছরে ধরে বেসরকারি খাতে ঋণের নিট প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশের কম। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই ঋণের প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশ বা তার বেশি হতো। বলছেন, ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা ।
নভেম্বর শেষে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। সাম্প্রতিক সময়ে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমেছে। গত জুলাই মাসে বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ, যা আগস্ট মাসে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ নেমে আসে। সেপ্টেম্বরে আরও কিছুটা কমে নেমে আসে ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশে। তবে কিছুটা বেড়ে যায় অক্টোবরে। এ মাসটিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। আর সবশেষ নভেম্বরে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশে। তথ্য: বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাপিটাল গুডস ও ক্যাপিটাল ম্যাটেরিয়াল আমদানি কম হচ্ছে। বেসরকারি খাতে যেসব ঋণ যাচ্ছে তার বেশিরভাগই কনজুমার গুডস ইম্পোর্ট ব্যয় মেটানোর জন্য। গ্রাহক পর্যায়ের ঋণের সুদহার বাড়ছে। অপরদিকে চলতি মাস জানুয়ারিতে গ্রাহক ঋণের সুদহার হবে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। জুন২৩ এ ছিল ১০ শতাংশের মতো। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রেণে মানি সাপ্লাই কমাতে সংকোচন মূলক ধরা অব্যাহত রাখা হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে এ নামিয়ে আনতে চাই। সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য বলছে, অক্টোবরে দেশের মূল্যস্ফীতি রয়েছে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
আগামী ১৫ জানুয়ারি অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জ বিবেচনা নিয়ে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন মুদ্রানীতিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে মূল্যস্ফীতিকে। এজন্য মুদ্রানীতির ভঙ্গিমা সংকোচনমুখী করা হচ্ছে। এতে বাজারে টাকার প্রবাহ আরও কমে যেতে পারে, ঋণের সুদহার আরও বাড়তে পারে।